দেশভ্রমণ (২০ পয়েন্ট)

  পয়েন্ট সমূহ
(লোড হচ্ছে...)

    Image by Arifur Rahman Tushar from Pixabay


    ভূমিকা:

    প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই জ্ঞানার্জন করা একান্ত কর্তব্য। জ্ঞানার্জনে মনের চোখ ফুটে উঠে। কিন্তু ছকবাধা জীবনাচরণের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জ্ঞানের পরিপূর্ণতা আসেনা। তাছাড়া মানুষের মন বৈচিত্র্য পিপাসু। দেশের সীমাহীন সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষের চেষ্টা ও কৌতুহলের শেষ নেই। এই কৌতুহল মিটাতে সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হচ্ছে দেশভ্রমণ করা। Macro Polo তাঁর Book Of The Marvels Of The World বইয়ের ভ্রমণকাহিনীতে বলেছেন-

    "Traveling is universal
    Travelling is educative
    travelling is inspiring."

    দেশভ্রমণের প্রবৃত্তি: 


    দেশভ্রমণের প্রবৃত্তি মানুষের চিরন্তন। অনাদি কাল থেকে এটি চলে আসছে। আদিম যুগ থেকেই মানুষ অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার, অধরাকে ধরার জন্য স্থান থেকে স্থানান্তরে ছুটে বেরিয়েছে। তাই ইতিহাস পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই আমাদের ভারত উপমহাদেশে যুগে যুগে চীন, মিশর, মরক্কো, স্পেন, গ্রীস প্রভৃতি দেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে এসেছে জ্ঞান অর্জন করার জন্য। এখনও সেসব দেশ থেকে পর্যটন কিংবা জীবিকার উদ্দেশ্যে তারা এখানে এসে থাকেন।

    দেশভ্রমণের মাঝে আনন্দ: 

    ভ্রমণের মাঝে আনন্দ পেয়ে মার্কো পোলো সমুদ্র পথে ভেসে ভেসে এশিয়ার বিশালতা পেরিয়ে চীনে আসেন। ইবনে বতুতা তার ঘর ছেড়ে এশিয়া-আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান জ্ঞান আহরণের জন্য। মুসলিম শাসনের সময় তিনি আমাদের দেশের এসেছেন। এরকম কৌতুহল উদ্দীপক এবং দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প যুগে যুগে মানুষকে আরও বেশি ভ্রমণমূখী করেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতায় ভ্রমণের প্রতি নিজের আগ্রহ তুলে ধরে বলেছেন-
    "ইচ্ছা করি মনে মনে
    স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে
    দেশ দেশান্তরে।"

    বৈচিত্রময় দেশভ্রমণ:

    অনেকদিন একই জায়গায় থাকতে কারোরই মন টিকে না। তখন একটু ভিন্নতার স্বাদ পেতে মন আনচান করে। দেশপ্রেম আমাদের সেই ভিন্নতার স্বাদ এনে দেয় এবং মনে প্রশান্তির অনুভূতি ছড়ায়। চিরকাল স্বদেশে বসবাস করা পথিক যখন প্রবাসের উদ্দেশে যায়, তখন প্রকৃতির বৈচিত্র তাকে ভাবায় এবং উদাস করে তোলে। সুন্দর প্রকৃতি মানেই যে সুজলা-সুফলা হতে হবে এমনটি নয়। মরুভূমির ক্যাকটাস, বালুঝড় কিংবা জনশূন্যতার মাঝেও অন্যরকম এক সৌন্দর্য্য রয়েছে। মূলত বৈচিত্রতাই দেশভ্রমণে কৌতুহল জাগায় এবং আনন্দ এনে দেয়।

    প্রাচীনকালে দেশভ্রমণঃ

    প্রাচীনকালে পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি তত উন্নত ছিল না। সমুদ্র তখন পালের জাহাজ চলত, স্থলপথে অশ্বারোহণ বা পদব্রজেই দেশভ্রমণ করতে হতো। তখন দেশভ্রমণ ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। একমাত্র দুঃসাহসী, কষ্টসহিষ্ণু ও অদম্য জ্ঞানপিপাসুরাই তখনকার দিনে দেশভ্রমণ করতো।

    বর্তমানে দেশভ্রমণ:

    বর্তমানকালে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। বিজ্ঞানের অবদান আজ আকাশপথ, স্থলপথ ও নৌপথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকলে এখন যেকোনো সময় যেকোনো দেশে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পৌছে যাওয়া যায়। তাই বর্তমানকালে ভ্রমণের গণ্ডি হয়েছে ব্যাপক ও প্রসারিত।

    কেন এই দেশভ্রমণ: 

    দেশভ্রমণের থাকতে পারে বিভিন্ন উদ্দেশ্য। এটি অবশ্য ভ্রমণকারী ব্যক্তির প্রয়োজন, কৌতুহল অথবা রুচির উপর নির্ভর করে। কখনো এমনি ঘুরে বেড়াবার উদ্দেশ্যে, কখনো নতুন কিছুর কৌতুহলে, কখনো বা ব্যবসায়িজ প্রয়োজনে মানুষকে দেশভ্রমণ করতে হয়। অদেখাকে নিজের জ্ঞানের গণ্ডীর ভিতরে আনতে দেশভ্রমণের বিকল্প নেই। ছাত্রজীবনে দেশভ্রমণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়ে বিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেলেও তা অন্তরে স্থান নাও পেতে পারে। ফলে তা সহজেই ভুলে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এভাবে দেশভ্রমণ হতে পারে শিক্ষার এক আবশ্যক অংশ। প্রখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক শেক্সপিয়র বলেছেন -

    "Home-keeping youth have ever homely wits."

    অর্থাৎ, যে যুবকের আলালের ঘরের দুলাল হয়ে আরাম আয়েসে ঘরে বসে থাকার অভ্যাস আছে, তার চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান ঘরেই সীমাবদ্ধ থাকে।

    শিক্ষার পরিপূর্ণতা দানে দেশভ্রমণ: 

    দেশভ্রমণের মাধ্যমে যে শুধু আনন্দই পাওয়া যায় তা নয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির শিক্ষাও পরিপূর্ণতা পায়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েও একজন ছাত্র পরোক্ষ জ্ঞানার্জন করে। কিন্তু দেশভ্রমণের মাধ্যমে সে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানার্জন করে। কেননা, বিদ্যালয়ের সংকীর্ণ আঙিনা কিংবা নিজস্ব গন্ডির মধ্যে একজন ব্যক্তি বই পড়ে যে জ্ঞানার্জন করে তা প্রত্যক্ষ  অভিজ্ঞতার অভাবে পূর্ণতা পায়না। দেশভ্রমণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক, সামাজিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ঘটনাবলি ও স্থানের সাথে জ্ঞানপিপাসুর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এছাড়া পৃথিবীর নানান দেশের নানান মানুষের আচার-আচরণ, ভাষা, ব্যবহার, সংস্কৃতি, মূল্যবোধের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি। এসব সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও প্রকৃত জ্ঞান দেশভ্রমণ ছাড়া সম্ভব নয়।

    গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ 

    দেশভ্রমণের গুরুত্ত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মহামনীষীরা দেশ ভ্রমণ করে জ্ঞানার্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফের সুরা আনকাবুতে আল্লাহ মানুষকে পৃথিবী ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন। টমাস জেফারসন বলেন,

    "ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ জ্ঞানী হয়।" 

    পারস্যের বিখ্যাত কবি শেখ সাদীর ভাষায় -

    "দুনিয়াতে দু’ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী: ১. ভাবুক বা চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং ২. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।"

    মানুষের মনকে উদার করে দেশভ্রমণ। দেশভ্রমণের ফলে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়ে এবং কুসংস্কার, কু-রীতি, সংকীর্ণতা দূর করে। তাই এসব দৃষ্টিকোণ থেকে দেশভ্রমণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

    উন্নত দেশের ভ্রমণপ্রিয় মানুষ: 

    এ কথা বলা বাহুল্য যে বিদেশে লোকেরা আমাদের চেয়ে ভ্রমণে অনেক বেশি উৎসুক। তারা শীতকালের কনকনে ঠান্ডার সময় নিরক্ষরেখায় অবস্থিত বারমুদা, জ্যামাইকা, হাওয়াই দ্বীপে কিংবা আল্পসে বরফ ঢাকা ঢালে অবস্থিত সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ করে। কিছু দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ভ্রমণ প্রায় বাধ্যতামূলক, কিছু দেশে এটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। এসব দেশের বৃদ্ধ, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবীসহ প্রায় সব শ্রেণিপেশার মানুষই বছরের বিভিন্ন সময় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হন।

    দেশভ্রমণ ও বাংলাদেশ: 

    বাংলাদেশ একটি সুপ্রাচীন দেশ। প্রাচীনত্ত্ব এর গর্ব ও অহংকার। কারণ এর প্রাচীনত্ত্বই দেশবিদেশে এর সুখ্যাতি ছড়িয়েছে। দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাস বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে দেশের জন্য আর্থিক সমৃদ্ধি আনয়ন করছে। বর্তমানে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

    বাংলাদেশের পর্যটন স্থানসমূহ:  

    বাংলাদেশের গর্ব দক্ষিণ পূর্বে বঙ্গোপসাগরের বেলাভূমি প্রমোদ ভ্রমণ কেন্দ্র হিসেবে প্রকৃতি নিজের হাতে গড়ে তুলেছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। যার ফলে কক্সবাজারের কথা সহজেই পর্যটকদের কাছে পরিচিত লাভ করে এবং খুবই লোভনীয় একটি স্থান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। এছাড়া বাংলাদেশের একপ্রান্তে অবস্থিত রাঙামাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এক অন্যতম লীলাভূমি। তামাবিল, পটুয়াখালির কুয়াকাটা, চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক, যমুনা সেতু, সিলেটের চা বাগান,  জাফলং,  ইত্যাদি পর্যটন স্থান হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত।

    বাংলাদেশের পুরাকীর্তি: 

    ঢাকার আহসান মঞ্জিল, ঢাকেশ্বরী মন্দির, কার্জন হল, লালবাগের কেল্লা, হোসনি-দালান, সোনার গাঁ, দিনাজপূরের কান্তজির মন্দির, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, নোয়াখালির বজরা মসজিদ সবই প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন এবং ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান হিসেবে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সভ্যতার অনেককিছু ধারণ করে এসেছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে দেশভ্রমণ: 

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে দেশভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশেই ভ্রমণ ও পর্যটনকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশ অন্যতম। তাই তারা এর উন্নতির জন্য যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য নানান সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া দেশভ্রমণের মাধ্যমে এক দেশের মানুষের সাথে অন্য দেশের মানুষের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে যা বিশ্বভাতৃত্ব স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    মানবসভ্যতার সমৃদ্ধিতে দেশভ্রমণ: 

    দেশভ্রমণের কল্যাণে সারা বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতি ও সভ্যতার আবিষ্কারগুলো আদান প্রদানের মাধ্যমে মানব সভ্যতার প্রভূত সমৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। ইতিহাসখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতা, হিউয়েন সাং, ফা-হিয়েন, কলম্বাস নিজেদের জ্ঞানপিপাসা মেটানোর জন্য মরুভূমি, পাহাড়-পর্বত, বন-বনানী পেরিয়ে দেশভ্রমণ করেছেন। তাদের কল্যাণে আমরা বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতা ও তার সংস্কৃতি জানতে পেরেছি। ফলে আমাদের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে। মানবসভ্যতা এগিয়ে এসেছে।

    মনীষীদের দেশভ্রমণ: 

    দেশভ্রমণের মধ্য দিয়ে কুসংস্কার, কুরীতি, মনের সংকীর্ণতা দূর হয়। তাই মহামনীষীদের দেশভ্রমণ করে জ্ঞানার্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন-
    "আমি চঞ্চল হে
    আমি সুদূরের পিয়াসী।"

    দেশভ্রমণের ফল: 

    দেশভ্রমণের মাধ্যমে যে শুধু আনন্দই পাওয়া যায় তা নয়। বরং এটি নতুন কিছু সৃষ্টি ও আবিষ্কারে উদ্দীপ্ত করে। তাই মানুষ দেশভ্রমণ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি সাহিত্যও রচনা করেছেন। বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের জীবনী পড়লে আমরা জানতে পারি যে অনেক উপন্যাস, কবিতা, গান, রম্য রচনা ইত্যাদি রচনার পিছনে উদ্দীপক হিসেবে ভ্রমণে অর্জিত জ্ঞান ও দেখা দৃশ্য কাজ করেছে। দেশভ্রমণের এসব অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের "দেশে-বিদেশে", "ইউরোপ প্রবাসীর পত্র", "রাশিয়ার চিঠি", পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের "চলে মুসাফির" প্রভৃতি গ্রন্থগুলো।

    দেশভ্রমণের উপকারিতা:

    দেশভ্রমণ শিক্ষার সাথে বিশেষভাবে জড়িত। ভ্রমণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে আমরা পরিচিত হতে পারি এবং নিজদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে পারি। সারা পৃথিবীতে বিচিত্র দেশ, বিচিত্র মানুষ ও সংস্কৃতির ছড়াছড়ি। দিকে দিকে কত অরণ্য সমুদ্র-পর্বত। একমাত্র দেশভ্রমণের মাধ্যমেই এসবের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পাঠ্যবইয়ের ক্ষুদ্র গন্ডির মধ্যে আবধ্য। রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলেছেন-

    "প্রত্যক্ষ বস্তুর সহিত সংস্রব ব্যতিত জ্ঞানই বলো, চরিত্রই বলো, তা নির্জীব ও নিষ্ফল হতে পারে।" 

    তাই পাঠ্যবইয়ের সাথে বাস্তবিক জ্ঞানের মিলবন্ধনের জন্য দেশভ্রমণের জুড়ি নেই।

    দেশভ্রমণের অপকারিতা:

    সবকিছুর মতোই দেশভ্রমণেরও কিছু অপকারিতা বিদ্যমান। অত্যধিক কিংবা উদ্দেশ্যহীন ভ্রমণ  নিষ্প্রয়োজন এবং বর্জনীয়। অতিরিক্ত ভ্রমণে স্বাস্থ্যহানি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অনেকে দেশভ্রমণের ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি বর্জন করে এবং অপসংস্কৃতির অন্ধকার পথে প্রবেশ করে। তাই শুধু ঘুরাঘুরি নয়, ভ্রমণের পিছনের থাকা প্রয়োজন মহৎ উদ্দেশ্য।

    উপসংহার: 

    দেশভ্রমণ মানব জীবনের জন্য অপরিহার্য। জ্ঞান, প্রেরণা, সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যের আস্বাদন ও অভিজ্ঞতা  দিয়ে জ্ঞানের সমুদ্রকে কানায় কানায় ভরে তুলে দেশভ্রমণ। অতএব, সামর্থ্য অনুযায়ী দেশভ্রমণ করা অতীব জরুরি। ইবনে বতুতা তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে বলেছেন-
    "Travelling makes one know the mystery of Lord's creation. Travelling makes us self-confident."
    তাই জীবনের প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্যের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য দেশভ্রমণের ভূমিকা অপরিসীম।

    Related Posts:

    Disqus Comments
    © 2020 রচনা স্টোর - Designed by goomsite - Published by FLYTemplate - Proudly powered by Blogger