সময়ের মূল্য

  পয়েন্ট সমূহ
(লোড হচ্ছে...)
    Image by annca from Pixabay


    ভূমিকা:

    সময় মানবজীবনের এক মহামূল্যবান জিনিস। সময় এক বিরতিহীন সত্তা যাকে শত চেষ্টা করেও থামানো যায়না। তার নেই কোনো পিছুটান। সে সময়ের নিরবধি প্রবাহে বন্দী মানুষের জীবন। সময়ের শৃঙ্খলে প্রতিটি মানুষের জীবন বাধা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ এই সময়ের জালে বন্দী থাকে। অনন্ত প্রবাহিত এই সময়ের মধ্যে মানুষ যে সময়টুকু পায় তা খুবই নগণ্য। এই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই মানুষ সফলকাম হয়, আবার সময়ের সদ্ব্যবহার না করলে তাকে চিরকাল হাহাকার করতে হয়। জীবনের শেষ সময়ে এসে তখন সে ভাবে, "সময় এত ছোট কেন?" তাই জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত মানুষের নিকট অত্যন্ত মুল্যবান। 

    সময়ের মূল্য:

    সময় মানবজীবনের এক অমূল্য সম্পদ। সময় একবার চলে গেলে সেই হারিয়ে যাওয়া সময় আর ফিরে পাওয়া যায় না। হারানো সাস্থ সুচিকিৎসা ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পুনরায় ফিরে পাওয়া যায়, হারানো সম্পদ পরিশ্রমের দ্বারা ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু সময় একবার চলে গেলে সেই সময় আর কোনো কিছুর বিনিময়ে ফিরে পাওয়া যায় না। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, "Time and tide wait for none"। অর্থাৎ সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নদীর বহমান স্রোতকে যেমন ফিরিয়ে আনা যায় না, তেমনি চলে যাওয়া সময়কে আর ফিরে পাওয়া যায়না। একারণেই পৃথিবীর কোনো জিনিসের সাথেই সময়ের তুলনা হয়না। তাই এক মুহুর্ত অপচয় করা মানে মানবজীবনের একটি অংশকে ফেলে আসা। এই অপচয়ের পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।

    মানবজীবনে সময়ের মূল্য:

    মানুষ তার জীবনযাপনের জন্য পায় একটি নগণ্য সময়। এই সময়টাও কালের স্রোতে দেখতে দেখতে হারিয়ে যায়। কবি হেমচন্দ্র তার কবিতায় বলেনঃ-
    "দিন যায় ক্ষণ যায়,সময় কারো নয় 
    বেগে ধায়, নাহি রহে স্থির।"
    তাই জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই জীবনে সফলতা আসবে, সার্থকতা আসবে। মানুষ সময়ের মূল্য না বুঝে সময়কে অবহেলা করে। সময়ের কাজ সময়ে করে না। আলস্যের সাথে তার জীবনের প্রতিটি সময় অতিবাহিত করে। মানুষ সময়কে দেখতে পায়না বলে সময়কে গুরুত্বের সাথে দেখে না।  তারা অলস ও কর্মবিমুখ জীবন কাটায়। ফলে সারা জীবন তাদেরকে ব্যর্থতার জ্বালা সইতে হয়। তাই মানুষের কর্মজীবনে সফলতা আনতে সময়ের মূল্য অপরিসীম।   

    সময়ানুবর্তিতা:

    সময়ের কাজ সময়ে করাকেই সাধারণত সময়ানুবর্তিতা বলা হয়। এটি একজন মানুষের একটি মহৎ গুণ যা একজন মানুষকে খুবই সহজে তার সাফল্যের দ্বারে পৌছে দেয়। এই পৃথিবীতে প্রতিটি কাজ করার জন্যই নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে। সেই সময়ে সময়ের সঠিক সদ্ব্যবহার করতে পারলেই জীবন সার্থক হবে। খ্রিষ্টানদের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলে আছে, " পৃথিবীতে প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, নির্দিষ্ট কাল ও সময় আছে।" নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজ করার মধ্যেই সময়ের সদ্ব্যবহারকারী ব্যক্তির লক্ষণ ফুটে উঠে। যে ব্যক্তি সময়ের সঠিক মুল্য দিতে জানে, তার সাফল্য নিশ্চিত। স্বল্প পরিসরে স্বল্প কাজের মাধ্যমে জীবনকে সার্থক করে তোলার একমাত্র উপায় হলো সময়ানুবর্তিতা। সময়ের কাজ সময়ে না করতে পারলে পরবর্তি জীবনে তার মাশুল দিতে হয়। তাইতো লালন শাহ তার গানে বলেছেন,
     " সময় গেলে সাধন হবে না।" 

    তাই বলা যায় জীবনে সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি হলো সময়ানুবর্তিতা। তাই জীবনে সার্থক হতে সকলের মন্ত্র হতে হবে এইরূপ,

    "Work while you work, play while you play. That is the way to be happy and gay!"

    সময়কে কাজে লাগানোর উপায়:

    সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখা দিন-রাতের ব্যাপার নয়। তাই সময়ের সঠিক শিক্ষা শিশুকাল থেকেই গ্রহণ করা দরকার। শিশুদের বোঝাতে হবে সময়ের সঠিক ব্যবহার কিভাবে করতে হয়। সময়ের সঠিক ব্যবহার না করলে কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় সেই সম্পর্কেও তাদেরকে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। তাহলে জীবনের পরবর্তী সকল ধাপগুলোতে তারা সময়ের সঠিক ব্যবহার রপ্ত করতে পারবে। তাই প্রতিটি পরিবারেরই উচিত নিজের সন্তানকে সময়ানুবর্তিতার শিক্ষা দেওয়া। আর সময়কে কাজে লাগানোর সবচেয়ে সুন্দর উপায় হলো প্রতিদিনের কাজগুলোকে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করে দেয়া। এইভাবে রুটিন অনুযায়ী কাজ করলে শিশুরা সহজেই নিয়মানুবর্তিতার নিয়মগুলো ও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সময়ের কাজ সময়ে করতে পারবে।

    বাঙালির সময়জ্ঞান:

    বাঙালি জাতি সভ্যতার পূর্বলগ্ন থেকেই শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে। তাছাড়া বাংলাদেশের মাটি উর্বর ও জমিতে অল্প চাষে অধিক ফসল পেয়ে বাংলার মানুষ সময়কে তেমনভাবে গুরুত্বের চোখে দেখেনি। তারা চাষাবাদ করতো আর দিনের একটি বড় সময় অলসতায় কাটাতো। ফলে বাঙালির বারো মাসে তের পার্বন লেগেই থাকত। কিন্তু বাঙালি সমস্যার সম্মুখীন হয় দেশে ইংরেজদের আগমণের পর। তারা ইংরেজদের থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা পেয়ে সময়ের মুল্য সম্পর্কে কিছু জানতে পারে ও সময়ের মূল্য সম্পর্কে অবগত হয়। এরপর থেকে বাঙালি কিছুটা সময়ের প্রতি সচেতন হলেও পুরোপুরি সময়ের মূল্য দিতে জানে না। তাই অন্যান্য দেশে বাঙালি জাতির সময়জ্ঞান সম্পর্কে ঠাট্টা বিদ্রুপ এখনো বিদ্যমান।

    সময় সচেতনতার গুরুত্ব:

    জীবনে সাফল্যের দ্বারে পৌছতে চাইলে সময়নিষ্ঠতা এক অন্যতম শর্ত। প্রবাদে আছে, " Time and tide wait for none." অর্থাৎ সময় এবং স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না। সময় মানবজীবনের এক অমুল্য সম্পদ। হারানো সাস্থ্য খাবার ও শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যায়। হারানো সম্পদ পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু চলে যাওয়া সময় আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায়না। তাই জীবনের প্রতিটি মুহুর্তের সঠিক সদ্ব্যবহার করা অতীব জরুরী। ইংরেজীতে আরো একটি প্রবাদ আছে, " Time is money." অর্থাৎ সময়কে টাকার সাথে তুলনা করা হয়েছে। সময়জ্ঞান বাস্তব অর্থে সবসবময় অর্থপ্রাপ্তি না ঘটালেও সময়ের সঠিক সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবন অর্থ, সম্পদ, জ্ঞান ইত্যাদিতে ভরে যেতে পারে। ফলে জীবন হয়ে উঠবে সার্থক।

    সময়ের সদ্ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা:

    আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত সম্পদের চেয়েও মূল্যবান। মানুষ এই পৃথিবীতে খুবই অল্প সময় নিয়ে আসে। এই সময়কে যারা সঠিক সদ্বব্যবহার করেছে তারাই স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন। প্রকৃত অর্থে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে কাজে লাগিয়ে সাধারন পৃথিবীতে অসাধারণ কিছু করে দেখানোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সময়ের গুরুত্বের সার্থকতা। সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে জীবনে ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে অনেক মহান ব্যক্তিরাও সময়ের সঠিক প্রয়োগ না করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। পার্থিব এই জীবনের তাই সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো সময়। সময়ের সঠিক সদ্ব্যবহারের কারণের জীবনে সফলতা আসে, আবার এর অপচয়ের কারণে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

    ছাত্রজীবন ও সময়নিষ্ঠা:

    ছাত্র জীবনকে বলা হয় একজন মানুষের জীবনের বীজ বপণের সময়। এই সময়ে সময়নিষ্ঠা অর্জন করে সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাই ছাত্র জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি প্রতিটি কাজের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা দরকার। যে সকল ছাত্ররা অলস-কুঁড়ে, সময়-অসচেতন সেসব ছাত্ররা যে শুধু পড়ালেখাতেই পিছিয়ে যায় তা নয়, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদেরকে ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। তাই ছাত্রজীবনে সকল শিক্ষার পাশাপাশি সময়ানুবর্তিতার শিক্ষাও অর্জন করতে হবে। এ সময়ে সময়ানুবর্তিতার শিক্ষা অর্জন করতে পারলে পরবর্তি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য অর্জন করা যায়।

    ছাত্রজীবনে সময়ের সদ্ব্যবহার:

    ছাত্রজীবন হলো মানবজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই ছাত্রজীবনের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছাত্রজীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে যারা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে তারাই সফলকাম হতে পেরেছে। অলস ও কর্মবিমুখ শিক্ষার্থীরা যারা সময়কে গুরুত্ব দেয়না তারা তাদের পরীক্ষাগুলোতে তো কৃতকার্য হয়ই না, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদেরকে হোচট খেতে হয়। ছাত্র জীবনে যারাই সময়ের সঠিক সদ্ব্যবহার করে তাদের সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। ইতিহাসের পাতা খুললে দেখা যায় মহান ব্যক্তিরা সকলেই ছাত্রজীবনে তাদের সময়কে কাজে লাগিয়েছেন। এরই ফলস্বরূপ তারা আজও পৃথিবীর বুকে অনুস্মরণীয়।

    ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে সময়নিষ্ঠার তাৎপর্য:

    সময়ানুবর্তিতা শুধু যে ব্যক্তিজীবনে সফলতা বয়ে আনে তা কিন্তু নয়, দেশ, জাতি তথা জাতীয় জীবনেও বয়ে আনে সমৃদ্ধি। ব্যক্তিজীবনে সফলতা লাভের পুর্বশর্তই হলো সময়ানুবর্তিতা। যে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সময় সচেতন, সেই রাষ্ট্রের উন্নতি আবশ্যক। বিশ্বের সকল মহান ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক সকলেই ছিলেন সময়সচেতন। সময়ের সঠিক ব্যবহারের দ্বারা তারা নিজেদের জীবনকে করেছেন সমৃদ্ধ এবং দেশকেও উন্নতির শিখরে পৌছে দিয়েছেন। তাঁদের হাত ধরেই জাতি সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সময়ানুবর্তিতার অন্যতম উদাহরণ হলো জাপান যেই দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার পরেও উন্নত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

    মনীষীদের জীবনে সময়নিষ্ঠার তাৎপর্য:

    পৃথিবীতে যারা স্মরণীয় ও বরণীয় সকলেই সময়ের তাৎপর্যে ছিলেন ভাস্বর। জীবনের এই অল্প পরিসরে কালের বাধনকে অতিক্রম করে তারা অর্জন করেছেন অমরত্ব। বিশ্বের বিখ্যাত কবি-শিল্পী সাহিত্যিকরা তাদের এই স্বল্প সময়ের জীবনকে তাদের সাহিত্য ও শিল্পকর্ম দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা তাদের আবিষ্কার ও পরীক্ষা নিরিক্ষার দ্বারা বিশ্বে এনেছেন প্রাচুর্য। বিভিন্ন ধর্মসাধক, সমাজতাত্ত্বিক, রাষ্ট্রনায়কদের নানাবিধ কর্মকান্ডে সমাজ ও সভ্যতায় এসেছে অগ্রগতি। এসব মহামানব জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে কাজে লাগিয়েই সাফল্যের সোনার হরিণকে খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া দরকার। তাদের শিক্ষা নিয়েই আমরা হতে পারি সময়ানুবর্তি ও সময়সচেতন।  

    সময়ের অপব্যবহারের পরিণাম:

    সময়ের অপব্যবহার ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে ধ্বংস ডেকে আনে। সময়ের অপব্যবহার করলে কখনোই কোনো ব্যক্তি সাফল্যের দ্বারে পৌছতে পারে না। কথায় আছে, " সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।" অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করলে কাজটি যত সহযে করা যায় সেই একই কাজ অসময়ে করলে তার দশগুণ ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। সময়ের অপচয়কারী ব্যক্তি ক্রমে ক্রমে পশ্চাতের দিকে ধাবিত হতে থাকে। এটি তাকে আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ ওয়াটার লূর যুদ্ধে নেপোলিয়নের এক সেনাপতি নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর হাজির হওয়ায় ঐ যুদ্ধে নেপোলিয়নকে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল। তাই সময়ের মূল্য যারা বুঝে না তাদের ব্যর্থতা অবশ্যম্ভাবী।

    সময়ের অপব্যবহার ও আমাদের কর্তব্য:

    যারা সময়ের সঠিক ব্যবহার করে না তাদের জীবনে নেমে আসে ঘন কালো মেঘের ছায়া। সময়ের ব্যাপারে উদাসীন ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে হোচট খেতে থাকে। জার্মান একটি ছড়ায় আছে,

    For want of a nail, the shoes is lost
    For want of a shoe, the horse was lost
    For want of a horse, the rider was lost
    For want of a rider, the battle was lost

    উক্ত কবিতায় সময়মতো একটি ঘোড়ার খুড়ের পেরেক জোগাড় করতে না পারায় যেমন জীবনযুদ্ধে হেরে যেতে হয়েছিল তেমনি জীবনের প্রতিটি কাজ সময়মতো না করতে পারলে জীবনের পরবর্তী সময়ে সেই ফেলে আসা সময়ের জন্য আফসোস করতে হয়। সময়ের অপব্যবহারের কারণে বহু প্রতিভাবান ও শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা জীবনযুদ্ধে হেরে গিয়ে ধ্বংস হয়ে গেছেন। তাই আমাদেরকে সময়ের সঠিক মূল্য বুঝতে হবে। সময়কে অবহেলা না করে সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তবেই জীবনে শান্তি ও সফলতা আসবে। 

    উপসংহার: 

    বর্তমানের আধুনিক যুগের জীবনযাত্রা হয়ে গেছে বহুমুখী। জ্ঞান বিজ্ঞানের এসেছে সুদুরপ্রসারী উন্নয়ন। জীবনসংগ্রামে মানুষে মানুষে ও দেশ-জাতির মধ্যে বেড়েছে প্রতিযোগিতা। জীবনে চলার পথে সকল পরিস্থিতির সাথেই আমাদেরকে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। তবে সেই সাথে সময়ের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে আমাদেরকে সকল কাজ করতে হবে। সেজন্য দরকার সময় ব্যবহারে একটি পরিকল্পিত ব্যবস্থা। একুশ শতকের এই পৃথিবী আজ প্রবল গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই গতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে দেশ জাতি তথা সকল জনগণকে সময়সচেতন হতে হবে। তবেই ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে আসবে সফলতা।

    Related Posts:

    Disqus Comments
    © 2020 রচনা স্টোর - Designed by goomsite - Published by FLYTemplate - Proudly powered by Blogger