কম্পিউটার (২১ পয়েন্ট)

  পয়েন্ট সমূহ
(লোড হচ্ছে...)
    Image by Free-Photos from Pixabay


    ভূমিকা:

    বিবর্তনের সোপান বেয়ে আসে সভ্যতা। সভ্যতা হচ্ছে মানব জাতির বুদ্ধি, মেধা ও অভিজ্ঞতার সমষ্টি। এক অন্ধকার পৃথিবী থেকে আলোর রাজ্যে বিজ্ঞানের নব নব অভিজান আজ মানুষকে কেবল বিস্মিত নয়, স্তম্ভিত করে। এক বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায় আরেক বিস্ময়। আমরা এখন সভ্যতার চরম উৎকর্ষকাল একুশ শতকে উপনীত হয়েছি। এখন বিশ্বময় চলছে বিজ্ঞানের জয় জয়াকার। আধুনিক বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হচ্ছে কম্পিউটার। ড. শমশের আলী বলেন- "Computer, an innovation in the realm of science has vibrated our domain of life."

    কম্পিউটার শব্দের অর্থঃ


    কম্পিউটার শব্দটি ল্যাটিন ভাষাজাত। এর অর্থ গণনা। অক্সফোর্ড অভিধানে কম্পিউটার শব্দের অর্থ করা হয়েছে গণকযন্ত্র। তবে বাংলায় কম্পিউটার এর যথার্থ প্রতিশব্দ খুঁজে পাওয়া দুরুহ। কেননা কম্পিউটার এর কর্মপরিধি এত বিস্তৃত যে, গণকযন্ত্র বললে তার যথার্থ অর্থ প্রকাশ পায় না। আসলে কম্পিউটার এক ধরণের সবজান্তা যন্ত্র বিশেষ।

    কম্পিউটার কীঃ

    কম্পিউটার বলতে এমন এক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রকে বুঝায় যা অগণিত উপাত্ত বা তথ্য সংগ্রহ বা গ্রহণ করে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আভিধানিক অর্থে কম্পিউটার হচ্ছে এক ধরণের গণকযন্ত্র। এর উৎস ইলেক্ট্রন ও এর কাজ দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য।

    আবিষ্কার ও প্রচলনঃ

    মাত্র অর্ধশতাব্দী আগে আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কৃত হলেও তার আবিষ্কারের সাধনা শুরু ব্যাবেজের। তিনি ১৮৩৩-৩৫ এর মধ্যে কম্পিউটারের গঠণতন্ত্র তৈরি করেন। ১৯৪৪ সালে সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক কম্পিউটার তৈরি হয়। এই কম্পিউটারের ওজন ছিল কয়েক টন এবং এর ব্যবহারও সুবিধাজনক ছিল না। আর দুই বছর পর ১৯৪৬ সালে প্যানসেলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রনিক্স কম্পিউটার 'এনিয়াক' আবিষ্কার করেন। এরপরই শুরু হয় কম্পিউটারের দুর্নিবার জয়যাত্রা।

    কম্পিউটারের গঠনঃ

    প্রত্যেকটি কম্পিউটার গঠিত হয় পাঁচটি উপাদান নিয়ে। এগুলো হলো- ১. ইনপুট ২. স্টোরেজ ৩.কন্ট্রোল  ৪. প্রসেসিং ৫. আউটপুট। আজকের পরিভাষায় স্টোরেজ, কন্ট্রোল ও প্রসেসিংকে সম্মিলিতভাবে বলা হয় সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা (CPU) অর্থাৎ কম্পিউটারের মগজ। কম্পিউটারে ফ্রেমের উপর সুইচ ও ভালব অথবা ট্রানজিস্টর অথবা ইনটিগ্রেটেড সারকিট ইত্যাদির সমাবেশ থাকে। ফ্রেমের বিভিন্ন অংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য টাইপরাইটার, লাইনপ্রিন্টার, কার্ড রিডার, ম্যাগনেটিক ট্যাপ ইত্যাদি। কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা যতই হোক এটা নিজে কোনো কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। এটা মানুষের নির্দেশ বহনকারী এক ধরণের যন্ত্রবিশেষ। কম্পিউটার মূলত মানুষের মগজ সদৃশ একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র। তবে মানুষের মস্তিষ্কের সাথে এটির পার্থক্য হলো এটি আবেগ ও অবসাদ থেকে মিক্ত ও ভ্রমশূন্য।

    কম্পিউটারের কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালীঃ

    কম্পিউটার আসলে এক প্রকার যন্ত্র মস্তিষ্ক। কম্পিউটারের 'ইনপুট' তথ্য ও নির্দেশ গ্রহণ করে। 'আউটপুট' প্রকাশ করে গণনার ফল। যে যাবতীয় তথ্য নিয়ে কম্পিউটার কাজ করে তাকে বলে প্রোগ্রাম। কম্পিউটারে তথ্য ও নির্দেশ প্রদানের জন্য যে বিশেষ ভাষা ব্যবহার করা হয় তাকে বলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। আর এসব কিছুকে একত্রে অভিহিত করা হয় কম্পিউটার সফটওয়ার বলে। এছাড়া কম্পিউটারের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণকারী একটা কাঠামো থাকে। তাকে বলে হার্ডওয়্যার। কম্পিউটারের বড় উপযোগিতা হলো তথ্য ও প্রোগ্রামের রদবদল বা সংযোজন ঘটিয়ে একই কম্পিউটারকে দিয়ে নানান রকম কাজ করে যায়।

    কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যঃ

    কম্পিউটার যে আজ বিস্ময়কর ও বিশ্বতভাবে সব ধরণের কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে তার মূলে রয়েছে এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমনঃ- ১। অত্যন্ত দ্রুত গণনার ক্ষমতা ২। বিপুল পরিমান উপাত্তকে মগজে ধরে রাখার ক্ষমতা ৩। তথ্য বিশ্লেষণে নির্ভুল ক্ষমতা ৪। ডাটা ও প্রোগ্রাম অনুসারে কাজ করার ক্ষমতা।

    কম্পিউটারের বিভিন্ন আকারঃ

    কম্পিউটার নানা আকারের হয়। এটি হাতে বহনযোগ্যও হতে পারে আবার বিশাল আকারেরও হতে পারে। বিচ্ছিন্ন বা অবিচ্ছিন্নভাবে এগুলোকে তৈরি করা হয়। তবে বিচ্ছিন্নভাবে তৈরি কম্পিউটারগুলো দূরবর্তী কোনো বিশেষ জায়গায় এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যে এগুলো একক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

    কম্পিউটারের প্রকারভেদঃ

    কম্পিউটার মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। যথাঃ ১. এনালগ কম্পিউটার ২. ডিজিটাল কম্পিউটার এনালগ কম্পিউটারে অংকের ক্ষেত্রে এক চমক সৃষ্টি করে এবং সেকেন্ডে লক্ষভাগের এক ভাগের মধ্যে সকল যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, অনুপাত, জটিল সমীকরণ সবই অনায়াসেই সম্পন্ন করে দিতে পারে। ডিজিটাল কম্পিউটার এর চেয়ে হাজার গুণ বেশি দক্ষ। কম্পিউটার বলতে আমরা এখন ডিজিটালকেই বুঝি। গণনা ব্যতিত অন্যান্য সব রকমের কাজে তার জুড়ি নেই। সে অন্য যন্ত্রের ভুল ধরতে পারে। মানুষের কথা বুঝে এবং কণ্ঠ চিনতে পারে যা এক আশ্চর্য ব্যাপার।

    কম্পিউটারের অবদানঃ:

    দ্রুত ও নির্ভুলভাবে গণনা ও তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক হিসাবের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান অতুলনীয়। কম্পিউটার বর্তমানে মানুষের বিস্তার উপকার সাধন করেছে। যেসব কাজ মানুষের পক্ষে করা অসম্ভব, সময় ও ব্য্যসাপেক্ষ, কম্পিউটার আবিষ্কারের পর সেসব কাজ অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়েছে। আজকের দিনে মানুষের সময়ের মূল্য অনেক বেশি। আর সময় বাঁচানোর অপরিহার্য যন্ত্র হচ্ছে কম্পিউটার। সুতরাং কম্পিউটার শুধু কাজেই নয়, মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করেছে। তাই কম্পিউটার হচ্ছে মানবসভ্যতার সর্বোৎকৃষ্ট অবদান।

    কম্পিউটারের ক্রমোন্নতিঃ

    কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা সৃষ্টি হয় ১৮৩৩ সালে। কিন্তু ১৯৪৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার  আবিষ্কৃত হয়। এর নাম এনিয়াক। এর সাহায্যে সেকেন্ডে  তিনশটি গুণের গুণফল বের করা যেত। যুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী গোপন তথ্য বের করার জন্য এ কম্পিউটার ব্যবহার করতো। সময়ের সাথে সাথে কম্পিউটারের গঠণপ্রণালীর একেকটি ধারণাকে বলা যেতে পারে একেকটি জেনারেশন। এভাবে তিনটি জেনারেশন পার করে বর্তমান চতুর্থ জেনারেশনের কম্পিউটার চলছে। আগামী দশক নিয়ে পঞ্চম জেনারেশনের কম্পিউটার ইতিমধ্যেই আমরা পেয়ে গেছি।

    কম্পিউটারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ 

    কম্পিউটার আধুনিক যুগে মানুষের পরম নির্ভরশীল বন্ধু। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সেসব দুরূহ কাজ মানুষের অসাধ্য, সেসব দূর্গম  স্থান মানুষের অগম্য, সেখানেই কম্পিউটারের প্রয়োগ, সেখানেই তার অকল্পনীয় সাফল্য। আধুনিক দ্রুত পরিবর্তনশীল জগতে সময়ের মূল্য অপরিসীম তাই সময় বাঁচিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যে কোনো কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম।

    শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

    কম্পিউটার এখন আধুনিক শিক্ষার অনন্য বাহন। শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে কম্পিউটার অন্তরভুক্তি অপরিহার্য। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ তথা জ্ঞানরাজ্যে বিচরণের সুযোগ করে দেয় কম্পিউটার। কম্পিউটার একটি সীমাহীন জ্ঞানভান্ডার যা বোতাম টিপলেই প্রত্যক্ষ করা যায়। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রেই এ যন্ত্রটি নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত বুলে সকল শিক্ষার্থীর কাছে এর ব্যবহার সহজলভ্য হওয়া উচিত।

    জনস্বাস্থ্যে কম্পিউটারঃ

    কম্পিউটার এখন মানুষের রোগ নির্ণয়ে ও নিরাময়ে অবদান রাখছে। রোগের কারণ ও প্রকৃতি বিশ্লেষণে এবং আরোগ্য বিধান নির্দেশনা কম্পিউটার এখন সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কম্পিউটার প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ জটিল ব্যাধি থেকে নিরাময়ের পথ নির্দেশ খুঁজে পাচ্ছে। কম্পিউটারের এই সহায়তা যথার্থ শিক্ষার মাধ্যমেই কাজে লাগানো যেতে পারে।

    তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে কম্পিউটারঃ

    কম্পিউটার তথ্য প্রযুজতুর ক্ষেত্রে বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করছে। ই-মেইল, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। তথ্য প্রবাহের অবাধ বিচরণে মানুষের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ হচ্ছে। এসব ছাড়াও কম্পিউটার মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভূত অবদান রাখছে। অফিস, আদালত, কারখানা, কৃষিকাজ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড প্রভৃতি ক্ষেত্রে রয়েছে। কম্পিউটারের একচ্ছত্র আধিপত্য। ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এটা মানজীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে।

    কম্পিউটার ও কর্মসংস্থানঃ

    কম্পিউটারের মুখে গূঁজে দেওয়া হয় অসংখ্য কাজ। তবুও এর অলসতা বা বিরক্তি নেই। সে মানুষের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় আরো কাজ। ইউ.জিম.এস গ্যাবস সম্পাদিত অটোমেশন ইন বিজনেস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রন্থে স্বীকার করা হয়েছে। আমাদের এ সত্যটি কখনো লুকানো উচিত নয় যে, অটোমেশনের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষমতা হচ্ছে শ্রমিক উৎখাত করা। কম্পিউটারের ব্যবহারের ফলে চাকরির সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং বেকার বাড়বে- একথাটি আমাদের দেশের জন্য পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ, আমরা যদি আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে পারি তবে তারা উন্নত বিশ্বে চাকরি জোগাড় করে নিতে পারবে। দেশের শ্রম সঞ্চয় হবে। সুতরাং, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে কম্পিউটার শেখার বিকল্প নেই।

    বাংলাদেশে কম্পিউটারের আবির্ভাবঃ

    বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটারের আবির্ভাব ঘটে ষাটের দশকে। ১৯৬৪ সালে আনবিক শক্তি কমিশনে আইবিএম ১৬২০ সিরিজের একটি কম্পিউটার আমদানির মাধ্যমে প্রাথমিক ক্ষুদ্র পরিসরে বাংলাদেশে কম্পিউটারের পদচারণা শুরু হয়। কিন্তু আশির দশকের শুরুতে বিদেশী কোম্পানীর মাধ্যমে এখানে কম্পিউটারের আবির্ভাব ঘটে। অতঃপর ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজে। অফিস-আদালতে ও কলকারখানায় ব্যাপকভাবে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়।

    বাংলাদেশে কম্পিউটারের সম্ভাবনাঃ 

    নব্বই এর দশকে এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। তবে আমাদের দশে কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যয়নের সুযোগ সীমিত। কেবল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গুটিকয়েক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে অনেকেই আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়ার তৈরি করছে। 

    কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাঃ

    কম্পিউটার কর্মক্ষেত্র যতই সম্প্রসারিত হচ্ছে এর শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটার শিক্ষার মাধ্যমেই এর উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। শিক্ষার অভাব থাকলে এর কার্যকারিতে ব্যাহত হবে। তাছাড়া কম্পিউটারের কার্যক্ষেত্র সম্প্রসারণের সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তির চাহিদাও বাড়ছে। তাই কম্পিউটার শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ অত্যাবশ্যক। কম্পিউটার নিজেই এখন বিশেষ বাণিজ্য পণ্য হিসেবে বিবেচিত। এর সফটওয়ার রপ্তানি বিশ্ব বানিজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে রয়েছে। এর জন্য প্রচুর জনশক্তি আবশ্যক। 

    কম্পিউটারজনিত বিভিন্ন সমস্যাঃ

    একনাগাড়ে অনেকদিন কম্পিউটার চালালে কিঙ্গা মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের ক্ষতি হতে পারে। মাথা ব্যথাসহ অন্যান্য শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ভাইরাস আক্রমণে অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অথবা বৈদ্যুতিক গোলযোগে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুহুর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এসব বিষয়ে কম্পিউটারের ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত দিকের উপর নির্ভর করে।

    উপসংহার:

    বিজ্ঞানের আশির্বাদ থেকে মানুষ পিছিয়ে থাকতে পারে না। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আজ আধুনি প্রযুক্তিবিদ্যার প্রবেশ অপরিহার্য। কম্পিউটারকেও আজ আর ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। অনিবারযভাবেই তার আগমন ঘটে সারা দুনিয়ায়। সেক্ষেত্রে দেশের অবস্থাকে স্বীকার করেই প্রয়োগ ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। এর প্রয়োগের মধ্যে দিয়েই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে নতুন কর্মসংস্থানের উপায়। শতাব্দীর এই বিস্ময়কর আবিস্কারটিই আজ বলে দেবে কোন পথে আমাদের সার্থকতা আর কোন পথে আমাদের অনগ্রসরতার কারণ। সেদিনের অপেক্ষায় আমরা আছি।









    Related Posts:

    Disqus Comments
    © 2020 রচনা স্টোর - Designed by goomsite - Published by FLYTemplate - Proudly powered by Blogger